https://bangladeshtoday.net/article/62397
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিদেশি জাতের কুল বরই চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ভাল ফলন হওয়ায় ও বিক্রিতে ভাল দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কুলচাষিরা কুল বাগানে গাছ পরিচর্যা ও বাজারজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে অনেকের বেকারত্ব জীবনে ফিরেছে কর্মসংস্থান।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নাজিরপুর, বিয়াঘাট, খুবজিপুর, মশিন্দা, ধারাবারিষা ও চাপিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে খÐ খÐ ভাবে গড়ে উঠেছে বিদেশি জাতের ৪৩টি কুল বাগান। তবে নাজিরপুরের মামুদপুর, ও গোপীনাথপুর গ্রামে এমন কুল বাগান বেশি। থোকায় থোকায় ঝুলছে বিদেশি জাতের ভারত সুন্দরী, কাশমেরী, আপেল কুল ও নারকেল কুল বরই। কুলের ভারে নুইয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। কুলের আকার ও রংয়ের ভিন্নতায় অপরুপ সেজেছে এসব বাগান। এসব বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
উপজেলার মামুদপুর গ্রামের কুল চাষি রবিউল করিম জানান, বেকারত্ব জীবনে প্রথমে ছোট পরিসরে শখে এক খÐ জমিতে বিদেশি নারকেল কুল চারা দিয়ে শুরু করি। পরবর্তীতে সাফল্য আসায় কৃষি অফিসের পরামর্শে ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ভারত সুন্দরী, কাশমেরী ও নারকেল এই তিন কুল জাতের তিনটি বাগান করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৭ লাখ টাকা। বাগানে কুলের ফলন ভাল হয়েছে। সফলতা আসবে এমন আশাব্যক্ত করেন তিনি।
কুলচাষি আব্দুল রাজ্জাক জানান, প্রতিটি বাগানের কুল বড় হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে বাজারজাত শুরু করেছেন। বাজার দরও ভালো পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, এ বছর উপজেলায় ৪৭ হেক্টর জমিতে বিদেশি জাতের কুলের আবাদ হয়েছে। বাগানের সংখ্যা ৪৩টি। এসব কুল দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও সুমিষ্ট। লাভজনক আবাদ হওয়ায় উৎসাহী হয়ে প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন কুল আবাদ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস